যশোরের কেশবপুরে কচাগাছ (জিয়েল কচা) থেকে কার্ত্তিক দাস (৬১) নামের এক বৃদ্ধের গলায় গামছা পেচিয়ে ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার (১৮মে) সকালে উপজেলার লালপুর গ্রামের মাঠ থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তি সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার জাতপুর গ্রামের মৃত নটোবর দাসের ছেলে। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় কেশবপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
থানার অপমৃত্যু মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার জাতপুর গ্রামের মৃত নটোবর দাসের ছেলে কার্তিক দাস দীর্ঘদিন ধরে মানষিক রোগে ভুগছিলেন। তার মানষিক রোগ বৃদ্ধি পেয়ে বেশ কিছুদিন লোকজনের সঙ্গে আবোল তাবোল বকাবকি করছিল।
এমতাবস্থায় গত ১৪মে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসে। তাঁকে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে না পেয়ে গত মঙ্গলবার (১৭মে) তালা থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। যার নাম্বার ৭২২।
পরবর্তীতে বুধবার (১৮মে) সকালে কেশবপুর উপজেলার লালপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে কচা গাছের সহিত কার্ত্তিক দাস নিজের ব্যবহৃত গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে বাউশলা গ্রামের দূর সম্পর্কের আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পারে পরিবারের লোকজন। মৃত্যুর খবর পেয়ে কেশবপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন বলেন, গলায় ফাঁস দেওয়া বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।